মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাস’চিব মামুনুল হক যেকোনো সময় গ্রে’প্তার হতে পারেন। দুই দিনে ঢাকায় ও নারায়ণগঞ্জে তার বি’রুদ্ধে এ’কাধিক মা’মলা হওয়ার পর তাকে নজরদারিতে রেখেছে পু’লিশ ও র্যা’ব।
পাশাপাশি সাদা পোশাকে একাধিক গো’য়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তার গতিবিধি নজরদারি করছেন।
স’রকারের একাধিক মন্ত্রী গত দুই দিনে হে’ফাজতের তা’ণ্ডবের ব্যাপারে স’রকারের ক’ঠোর অবস্থানে যাওয়ার কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পু’লিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন,
‘মামুনুল হককে গ্রে’প্তারে প’দক্ষেপ নেয়া হবে। মা’মলা হয়েছে। শর্ট টাইমের মধ্যে আমরা গ্রে’প্তার অ’ভিযান চালাব।
আবার আ’সামি’কে গ্রে’প্তারে সময় লাগতে পারে, খুঁজতে হবে, আ’সামি কোন ঠিকানায় আছেন তা জানতে হবে। তবে আমাদের সব ধরনের তৎপরতা চলছে।’ গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এলাকায় রিসোর্ট কাণ্ডের পর মামুনুল হক তার মোহাম্ম’দপুরের বাসায় আর ফেরেননি।
এদিকে স’ন্তানদের নিয়ে তার স্ত্রী মোহাম্ম’দপুরের কাদে’রাবাদ হাউজিং ১ নম্বর সড়কের ওই বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
মামুনুল হক শিক্ষ’কতা করেন মোহাম্ম’দপুরের জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসায়। রিসোর্ট কাণ্ডের পর গত সোমবার ওই মাদ্রাসায় হেফাজত নেতারা জরুরি বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মামুনুল হক। এরপর আর তার দেখা পাওয়া যায়নি।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাস’চিব ফজলুল করিম কাসেমী বলেন, ‘তার (মামুনুল) স’ঙ্গে সর্বশেষ দেখা হয়েছে গত সোমবার। উনি মিটিংয়ে ছিলেন।
এরপর আর তার স’ঙ্গে দেখা হয়নি। উনি কোথায় আছেন জানি না।’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র বলছে, শনিবার রাতে সোনারগাঁ থেকে ফিরে মামুনুল হক পল্টনে বোনের বাসায় যান।
সেখান থেকে যান মোহাম্ম’দপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসায়। সেখান থেকে বসিলায়। গত সোমবার তিনি জামিয়া রাহমানিয়ায় এসেছিলেন। তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই তাকে গ্রে’প্তার করা হবে।
পালাতক মামুনুল হক, মামুনুলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না
পল্টন ও সোনারগাঁও থানার একাধিক মা’মলায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাস’চিব মামুনুল হককে গ্রে’ফতারে রাতভর একাধিক স্থানে অ’ভিযান চা’লিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে, তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পু’লিশ জানিয়েছে, অ’ভিযান অব্যাহত আছে; যে কোনো সময় মামুনুল হককে গ্রে’ফতার করা সম্ভব হবে।
বুধবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে মামুনুল হক আ’টক হয়েছেন। এমন খবরের ভিত্তিতে প্রথমে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর নেতা ফজলুল করিম কাশেমীর স’ঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ রকম খবর শোনেননি। তাকে (মামুনুল) কেউ আ’টক বা গ্রে’ফতার করেনি। মামুনুল কোথায় আছেন জানতে চাইলে কাশেমী বলেন, তার কাছে নেই। তবে এক জায়গায় আছে, বলা যাবে না।
এরপর রাত যত বেড়েছে গ্রে’ফতার সম্প’র্কিত গুঞ্জনের ডালপালা ততই ছড়িয়েছে। এক পর্যায়ে জানা যায়, ঢাকা মহানগর গো’য়েন্দা পু’লিশের (ডি’বি) একটি দল মোহাম্ম’দপুর বছিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রে’ফতার করেছে। এই খবরের সত্যতা জানতে ডি’বির অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনারসহ বেশ কয়েকজন ডিসি, এডিসি এবং সিনিয়র এসির স’ঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, না, মামুনুল হককে গ্রে’ফতার করা হয়নি।
ডি’বির এক কর্মকর্তা জানান, সম্ভবত তাকে র্যা’বের হেফাজতে রাখা হয়েছে। ত’থ্যের ভিত্তিতে র্যা’বের স’ঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, কিন্তু খবরের সত্যতা মেলে না।পরে, মোহাম্ম’দপুর এলাকার কর্মরত গো’য়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তার স’ঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, মামুনুল হক এখনো আ’টক বা গ্রে’ফতার হননি।
বেশ কয়েক জায়গায় অ’ভিযান চা’লানো হয়েছে। দিবাগত রাত আড়াইটায় তিনি জানান, এখনো অ’ভিযান অব্যাহত আছে। অ’ভিযানে কারা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, থানা পু’লিশ, ডি’বি পু’লিশ, র্যা’ব এবং গো’য়েন্দা সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত আছেন।
তিনি বলেন, সম্ভাব্য যে কয়টি জায়গায় অ’ভিযান চা’লানো হবে তার মধ্যেই তাকে (মামুনুল) ধরা সম্ভব হবে। তবে, সেটি রাতে নাকি দিনে তা বলা যাচ্ছে না।অপর একটি সূত্র জানায়, মোহাম্ম’দপুর বছিলা ব্রিজ সংলগ্ন জামিয়া আরাবিয়া মাদরাসার সামনে সন্ধ্যা থেকে পু’লিশ মোতায়েন ছিল। ওই মাদরাসা পরিচালনার দায়িত্বে আছেন মামুনুল হক। রাত ১১ টার দিকে পু’লিশ সেখান থেকে চলে যায়।
এরপর রাত ১২ টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মামুনুল হককে গ্রে’ফতার করেছে মোহাম্ম’দপুর থানা পু’লিশ।এ বি’ষয়ে জানতে পু’লিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার হারুন অর রশীদের স’ঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সারাবাংলাকে জানান, মামুনুলকে গ্রে’ফতার করা হয়নি। যারা বলেছে তারা রং মেসেজ দিয়েছে।
Leave a Reply