শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভা’ঙচুরের ঘ’টনায় বিভিন্ন মহল থেকে প্র’তিবাদ উচ্চারিত হচ্ছে। ক্ষু’ব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষেরা। এবার ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে মুখ খুললেন যুবলীগের আইন বি’ষয়ক সম্পাদক তথা জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
তিনি ভাস্কর্যের বি’রোধীতাকারীদের পাকিস্তানিদের বংশধর হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একইস’ঙ্গে তিনি অ’পরাধীদের ক’ঠোর শা’স্তি দাবি করে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার কথাও বলেছেন।সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবীদের মা’নববন্ধ’ন ও অবস্থান কর্মসূচিতে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘১৯৭১ সালে যারা বলছেন, যারা পাকিস্তানের বি’রোধিতা করবে তারা আর মু’সলমান থাকবে না।
এইসব কথা যারা বলছেন, তারা তো আর পাকিস্তানের আ’টকে রাখতে পারেন নাই, এই দেশের রাখতে পারে নাই। আপামর মুক্তিযোদ্ধারা এই দেশটাকে জয় করে নিয়েছিল। আপনি খেয়াল করে দেখবেন, তাদের বংশধরেরাই আজ বলে এইটা মূর্তি, এইটা প্রতিমা। এইসব কথা বলে মুক্তিযু’দ্ধের পক্ষের স’রকারের বি’রোধিতা করার জন্য।
ইসলাম প্রতিষ্ঠা এদের উদ্দেশ্য নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানে যখন ভাস্কর্য হয়, তখন তারা বলে এইটা পবিত্র। সৌদি আরবে যখন ভাস্কর্য হয় তখন বলে এইটা পবিত্র। যখন ইরানে, তুরস্কে ভাস্কর্য হয় তখন বলে এইটা পবিত্র, এরদোয়ানের যখন ভাস্কর্য হয় তখন বলে পবিত্র;
একমাত্র বাংলাদেশের জাতির পিতার ভাস্কর্য হওয়ার পর, যেটা বাঙালিদের অনুভূতির স’ঙ্গে সম্প’র্কিত। পৃথিবীর কোনো জায়গায় পাবেন না যে অনুভূতিতে আ’ঘাত দেওয়া হয়। আমাদের মহানবী হযরত মোহাম্ম’দ (সা) তো ধর্ম প্রচার করতে গিয়ে কারও অনুভূতিতে আ’ঘাত দেন নাই।
যারা আমাদের অনুভূতিতে আ’ঘাত করছেন তারা কখনো প্রকৃত মু’সলমান হতে পারবেন না।’ ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমার মনে হইতেছে যারা মূর্তি আর ভাস্কর্যের বিতর্ক শুরু করেছে, রাজাকার, আলবদর, আল শামস, যু’দ্ধাপরাধীদের আত্মা ভর করছে এদের ও’পরে। এদের ফান্ড কোথা থেকে আসে, তারা কোথা থেকে টাকা পাইতেছে?
এদের এখন আর ওয়াজ করার দরকার হয় না। ক’রোনাকালীন সময়ে এমনিতেই তো ওয়াজ হয় না। এরা ফান্ড কোথা থেকে পাচ্ছে? আমি স’রকারের কাছে দাবি জানাব, যারা এই ভাস্কর্য ভা’ঙচুর করছে তাদের দৃষ্টান্তমূ’লক শা’স্তি তো দিতেই হবে। আপনারা বিবেচনা করে দেখেন, এদের বি’রুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মা’মলা আনা যায় কিনা।’
Leave a Reply