বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন
ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাস’চিব মাওলানা মামুনুল হক
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় অভিযোগ করে বলেছেন, আমরা একটি ভিডিওতে দেখেছি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাস’চিব মাওলানা মামুনুল হক আমাদের নবী মুহাম্ম’দ (সা.)-এর ঠোঁট নাড়ানো দেখিয়ে অবমাননা করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত উ’গ্র সাম্প্রদায়িকতা ও স’ন্ত্রাস বিরােধী বি’ক্ষো’ভ সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ কলেন।
মামুনুল হকের উদ্দেশ্যে জয় বলেন, নবী’জীর ঠোঁট নাড়ানো নিয়ে ব্যঙ্গ করা চেহারা নিয়ে আর সামনে আসবেন না। এটি আপনার একটি শা’স্তিযোগ্য অ’পরাধ। কিন্তু দুঃখের বি’ষয় কোন ইসলমী সংগঠনকে আমরা এর প্র’তিবাদ করতে দেখিনি।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আপনারা একটি জিনিস খেয়াল রাখবেন বঙ্গবন্ধু যেমন ইসলাম ধর্মকে এগিয়ে নিয়েছিলেন; তারই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসা’ম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্য তিনিও ইসলাম ধর্ম এবং মাদ্রাসা শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আপনার সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
জয় বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আছে বলেই মাননীয় প্রধামন্ত্রী নেতৃত্বে দেশের মানুষ আরাম আয়েশের মধ্যদিয়ে জীবনযাপন করছে। সুতরাং তার পাশে থেকে তার কাজকে এগিয়ে নিতে আমাদের কাজ করা উচিৎ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া অসা’ম্প্রদায়িক এ বাংলাদেশে কোন সা’ম্প্রদায়িক শ’ক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।
মামুনুলদের লেজ কে’টে দেয়ার সময় চলে এসেছে: ছাত্রলীগ সভাপতি
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, মামুনুল হক জ’ঙ্গিবাদকে স’ঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যারা সম্প্রদায়িকতা, জ’ঙ্গিবাদকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের এখনই লাগাম টানতে হবে। তাদের যে লেজ হয়েছে সে লেজ কে’টে দেয়ার সময় চলে এসেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত এক বি’ক্ষো’ভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
উ’গ্র সা’ম্প্রদায়িকতা ও স’ন্ত্রাসবি’রোধী বি’ক্ষো’ভ সমাবেশের’ আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সমাবেশে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন,
ঢাকা উত্তর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের আহমেদসহ বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা।
আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, জাতির পিতাকে না পেলে আমরা বাংলাদেশকে পেতাম না। জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে যারা কথা বলেন তারা মূর্তি আর ভাস্কর্যের সংজ্ঞাই জানেন না। আমাদের নবী’জি কখনও বলেননি কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আ’ঘাত হানতে।
তাহলে কীভাবে আপনারা অন্যের ধর্মকে নিয়ে খা’রাপ কথা বলেন। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই অসা’ম্প্রদায়িক বাংলাদেশ কোনো সা’ম্প্রদায়িক শ’ক্তিকে মাথাচাড়া দিতে দেয়া হবে না।
ডাকসুর সাবেক এজিএস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, একাত্তর সালে চারটি মূ’লনীতির জন্য বাংলাদেশের ৩০ লাখ শহীদ প্রা’ণ দিয়েছেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষবাদসহ চারটি মূ’লনীতি নিয়ে নতুন করে তালবাহা’না করার কিছু নেই।
একাত্তর সালেই আমরা এর মীমাংসা করেছি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পরিচালিত হবে। আজকে আমরা মৌলবা’দী তাবেদার শ’ক্তির আস্ফালন দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের সমাজকে রক্ষণশীলতার চাদরে আবদ্ধ করার জন্য নিগূঢ় যড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, একাত্তর সালে যাদের আমরা পরাজিত করেছি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আজকে তাদের আস্ফালন। আজকে আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের বলে দিতে চাই, আমরা যেমন বাঙালি মায়ের শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে হয়ে থাকতে জানি, তেমনি মৌলবাদকে প্রতিহত করতে আকাশ থেকে বজ্র হয়েও ঝরতে জানি।
সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ’তা বাঙালি জাতীয়তাবাদসহ সংবিধানের যে চারটি মূ’লনীতি রয়েছে সেটির প্রশ্নে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনই এক। চারটি মূ’লনীতিকে উদ্দেশ্য করে নতুন করে তালবাহা’না করার চেষ্টা করবেন না। এই চারটি মূ’লনীতি নিয়ে যারা ছিনিমিনি করতে চায় বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ তাদের বি’রুদ্ধে দুর্বার জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান হৃদয় বলেন, এখন থেকে জাতির পিতাকে নিয়ে যারা কটূক্তি করবে তাদের আর ছাড়া দেয়া হবে না। কে হুকুম দিল, কে আসল না আসল তার আশায় বসে থাকা হবে না। আমরা ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ অতীতের মতো সারা ঢাকা শহর দ’খল করে, আন্দোলন করে বুঝিয়ে দিব আমরা ছাত্রলীগের কর্মী, শেখ হাসিনার কর্মী, বঙ্গবন্ধুর কর্মী।
প্রস’ঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে শানে রিসালাত কনফারেন্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনের বি’রোধিতা করে তা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রা’প্ত মহাস’চিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক।
Leave a Reply