সোমবার, ২৩ মে ২০২২, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন
আমরা মু’সলমান। আমাদের ধর্ম ইসলাম। আমাদের প্রভূ একমাত্র আল্লাহ। আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বিশ্বনবী হযরত মুহাম্ম’দ মুস্তফা (সা.) এর উম্মাত।
ফ্রান্স স’রকার আমাদের হযরত মোহাম্ম’দ (সাঃ) কে অবমাননা করে ব্যাঙ্গচিত্র প্রাদর্শন করছে।মোহাম্ম’দ (সাঃ) কে অ’পমান করে ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শন চলছে।এই নিয়ে বি’ক্ষো’ভ করেছেন ফ্রান্স সহ পুরো বিশ্ব।হযরত মুহাম্মাদ (স.) কে অবমাননা করা হচ্ছে ফ্রান্সে।
হযরত মুহাম্ম’দ সাল্লাল্লাহু ইসলামকে ব্যঙ্গ করায় তীব্র নি’ন্দা এবং প্র’তিবাদ জানিয়েছে তানজিন তিশা।
শনিবার নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তানজিন তিশা লিখেছেন, আমরা যারা মু’সলিম ঘরের স’ন্তান, মু’সলমান আমাদের বোধ হবার পর থেকেই একজন মানুষকে অনেক ভালোবাসি তিনি হলেন আমাদের প্রিয় নবী এবং রাসুল হযরত মুহাম্ম’দ ( সাঃ ) ।
আল্লাহ নিজে যাকে সর্বোচ্চ সম্মান এবং মর্যাদা দিয়েছেন কেউ তাঁর সম্মান এবং মর্যাদা একটুও ক্ষুণ্ণ করতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না ।
আমার এই পোস্টের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী নবী করিম ( সাঃ)কে নিয়ে ব্যাঙ্গ, বিদ্রুপ এবং সকলপ্রকার অ’পপ্রচার এবং মি’থ্যাচারের প্র’তিবাদ জানাই ।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের ম্যাগাজিন ‘শার্লি এবদো’র সর্বশেষ সংস্করণের প্রচ্ছদে প্রিয়নবী মুহাম্ম’দ (সা.)-কে ব্যঙ্গ করে আঁকা ১২টি কার্টুন ছাপা হয়।
এর কিছুদিন পর ফ্রান্সের একজন স্কুল শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মহানবী ( স.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে।
ফলে সেখানকার মু’সলিম কমিউনিটি এর সর্বাঙ্গ বি’রোধিতা করে। একজন ইমাম মসজিদের মেম্বার থেকে এই ধৃষ্টতার বি’রুদ্ধে অনলাইনে প্র’তিবাদের ডাক দেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ফরাসি প্রে’সিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোর বক্তব্যের তীব্র প্র’তিবাদ করেছেন রজব তাইয়েব এরদোগান।
মুহাম্ম’দ ( স.) এর মতো একজন মহামানবকে অবমাননার প্র’তিবাদে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামাজিকভাবে ফরাসি-পণ্য বর্জনের ডাক চলছে। কাতারের সামাজিক সংগঠনগুলো ফরাসি-পণ্য প্রবেশ নি’ষিদ্ধ করে দিয়েছে।
ফ্রান্সের জন্য আফসোস!
ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে পরিচিত দেশটি তাদের যথাযথ অবস্থান ধরে রাখতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। তাদের ইসলাম বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড বরাবরই দেশটির মু’সলিম’দের হৃদয়কে ক্ষ’তবিক্ষ’ত করে চলছে। ক’ষ্ট দিচ্ছে মু’সলিম উম্মাহকে। হজরত মুহাম্ম’দ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে তাদের এ ব্যঙ্গ চিত্র দেশটির দেয়ালে দেয়ালে টানানো তাদের এই ধৃষ্টতা যেন ছাড়িয়ে গেছে আগের সব মু’সলিম বিদ্বেষ।
অথচ বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কত উদার ও ক্ষমা প্রদর্শনকারী ছিলেন; তা মক্কা বিজয়ের ঘ’টনা থেকেই প্রমাণিত। ইসলাম বিদ্বেষীরা প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জ’ন্মভূমি থেকে যথেষ্ট ক’ষ্ট দিয়ে হিজরত করতে বা’ধ্য করেছিলেন। অথচ মক্কা বিজয়ের পর বিশ্বনবি ক্ষমার এক অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি সবাইকে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দেন। যাতে সবাই ক্ষমাপ্রা’প্ত হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেশটিতে মু’সলিম’দের ও’পর দ’মন-নি’পীড়নের ঘ’টনা উঠে আসছে। ফলে ক্ষো’ভে ফুঁসে উঠেছে বিশ্ব মু’সলিম। বাংলাদেশের ইসলামি মতাদর্শে বিশ্বাসী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরাসহ বিশ্বজুড়ে উঠছে সমালোচনা ও প্র’তিবাদের ঝড়।
ফ্রান্স স’রকার রাষ্ট্রীয়ভাবে পু’লিশ পাহারায় মুহাম্ম’দ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে বিশ্ব মু’সলিমের কলিজায় আ’ঘাত হেনেছে। কারণ মু’সলমানরা তাদের নবী মুহাম্ম’দ (সা.)কে প্রা’ণের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। নবী’জির অবমাননা মু’সলমানগণ কিছুতেই বরদাশত করবে না। ফ্রান্স স’রকার নবীর বি’রুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্বমু’সলিমকে উস্কে দিয়ে ধর্মযু’দ্ধ বা’ধানোর ষ’ড়যন্ত্র চা’লিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেছেন।
Leave a Reply